Language কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী | ভাষার সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ!
মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভাষা বা Language।
আমরা কথা বলি, লিখি, পড়ি কিংবা অনুভূতি প্রকাশ করি—সব কিছুতেই ভাষার ব্যবহার অপরিহার্য।
ভাষা ছাড়া মানব সভ্যতা সম্ভব নয় বললেই চলে। তাই ভাষা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব: Language কাকে বলে, কত প্রকার, ও কী কী প্রকারভেদ রয়েছে—একটি পূর্ণাঙ্গ, সহজবোধ্য ব্যাখ্যা সহ।
Language কাকে বলে?
Language বা ভাষা হলো এমন একটি যোগাযোগের মাধ্যম, যার মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব, চিন্তা, অনুভূতি, তথ্য ও অভিজ্ঞতা অন্যের কাছে প্রকাশ করে। এটি মৌখিক (Spoken), লিখিত (Written) কিংবা অঙ্গভঙ্গির (Sign) মাধ্যমেও হতে পারে।
সহজ ভাষায় সংজ্ঞা:
ভাষা হলো ধ্বনি, শব্দ ও বাক্যের সাহায্যে ভাব প্রকাশের একটি নিয়মমাফিক পদ্ধতি।
Language কত প্রকার?
Language-কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়। নিচে ভাষার প্রধান ৪টি শ্রেণিবিভাগ তুলে ধরা হলো:
প্রকাশভঙ্গির ভিত্তিতে ভাষার প্রকারভেদ:
১. মৌখিক ভাষা (Spoken Language):
যে ভাষা মুখের মাধ্যমে ধ্বনির আকারে প্রকাশিত হয়।
উদাহরণ: বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ইত্যাদি।
২. লিখিত ভাষা (Written Language):
যে ভাষা লিখিত চিহ্ন বা অক্ষরের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
উদাহরণ: বই, খবরের কাগজ, মেসেজ।
২. অঙ্গভাষা (Sign Language):
যে ভাষা হাত, মুখ ও শরীরের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
উদাহরণ: শ্রবণ বা বাকপ্রতিবন্ধীদের সংকেতভাষা।
গঠনের ভিত্তিতে ভাষার প্রকারভেদ:
১. প্রাকৃতিক ভাষা (Natural Language):
যে ভাষা মানুষ জন্মগতভাবে শেখে এবং ব্যবহার করে।
উদাহরণ: বাংলা, ইংরেজি, উর্দু।
২. কৃত্রিম ভাষা (Artificial Language):
যে ভাষা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় বিশেষ প্রয়োজনে।
উদাহরণ: প্রোগ্রামিং ভাষা (C, Java), গাণিতিক ভাষা।
ব্যবহার অনুযায়ী ভাষার প্রকার:
১. আঞ্চলিক ভাষা (Regional Language):
নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রচলিত উপভাষা বা উপভাষার ধরন।
উদাহরণ: সিলেটি, চট্টগ্রামের উপভাষা।
২. জাতীয় ভাষা (National Language):
একটি দেশের সরকার স্বীকৃত প্রধান ভাষা।
উদাহরণ: বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা বাংলা।
৩. আন্তর্জাতিক ভাষা (International Language):
বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত যোগাযোগের ভাষা।
উদাহরণ: ইংরেজি।
আরো পড়ুন:
ব্যবহারের মাধ্যম অনুযায়ী ভাষার প্রকার:
১. প্রথম ভাষা (First Language):
যে ভাষা শিশু জন্মের পর প্রথম শেখে এবং বেড়ে ওঠে।
উদাহরণ: কারো জন্য বাংলা, কারো জন্য ইংরেজি।
২. দ্বিতীয় ভাষা (Second Language):
প্রথম ভাষার পরে শেখা ভাষা।
উদাহরণ: কেউ বাংলা জানে, পরে ইংরেজি শেখে।
ভাষার বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ভাব প্রকাশের মাধ্যম
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান
- নিয়মমাফিক গঠন
- পরিবর্তনশীল ও সময়ের সঙ্গে অভিযোজিত
- মানুষের চিন্তাশক্তি বিকাশে সহায়ক
FAQ:
Q: ভাষা কাকে বলে?
A: ভাষা হলো ধ্বনি, শব্দ ও বাক্যের সাহায্যে ভাব প্রকাশের একটি নিয়মমাফিক পদ্ধতি।
Q: ভাষা কত প্রকার?
A: ভাষা মূলত চারটি ভিত্তিতে ভাগ করা যায়—প্রকাশভঙ্গি, গঠন, ব্যবহার ও শিক্ষার মাধ্যম অনুযায়ী।
Q: মৌখিক ও লিখিত ভাষার পার্থক্য কী?
A: মৌখিক ভাষা মুখে উচ্চারিত হয়, আর লিখিত ভাষা অক্ষর বা চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
উপসংহার:
ভাষা শুধু কথার মাধ্যম নয়—এটি একটি জাতির পরিচয়, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আত্মার প্রতিচ্ছবি। ভাষা আমাদের চিন্তা প্রকাশের হাতিয়ার এবং সমাজে টিকে থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই ভাষা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই প্রয়োজন।