বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় - একটি সম্পূর্ণ গাইড!
বিড়ালের কামড় বা আচড় একটি অতি সাধারণ দুর্ঘটনা, বিশেষ করে যাদের বাড়িতে পোষ্য বিড়াল আছে তাদের জন্য। অনেকেই এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন, কিন্তু এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
বিড়ালের মুখের লালা এবং নখে বিভিন্ন প্রকারের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেগুলো ত্বকের ভেতর প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় এবং প্রাণঘাতী ঝুঁকি হলো রেবিজ বা জলাতঙ্ক রোগ। এই রোগ একবার লক্ষণ প্রকাশ পেলে প্রায় ১০০% মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই, বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই প্রশ্নটির উত্তর জানা একেবারেই অপরিহার্য। এই আর্টিকেলে আমরা বিড়ালের কামড় বা আচড় থেকে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ, টিকা এবং চিকিৎসার সময়সূচী, এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই প্রশ্নটির সরল উত্তর হলো যত দ্রুত সম্ভব, আদর্শভাবে ২৪ ঘন্টার (এক দিনের) মধ্যে। বিশেষ করে রেবিজ বা জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সময়সীমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, এটি একটি জটিল বিষয় এবং ক্ষতের ধরন, বিড়ালের স্বাস্থ্য ও টিকাকরণের ইতিহাস, এবং আপনার নিজের টিকা এর ইতিহাসের উপরেও এটি নির্ভর করে।
এই নিবন্ধে আমরা বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই মূল বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড উপস্থাপন করব।
বিড়ালের কামড় কেন বিপজ্জনক?
বিড়ালের কামড় দেখতে ছোট ও superficial মনে হলেও এটি খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এর পিছনে কয়েকটি কারন রয়েছে।
গভীর ক্ষত: বিড়ালের ছোট ও ধারালো দাঁত ত্বকের নিচে গভীরে পৌঁছে যায়, যা ব্যাকটেরিয়াকে পেশী, টেন্ডন এবং জয়েন্টে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়।
ব্যাকটেরিয়া: বিড়ালের মুখে Pasteurella multocida নামক একটি বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা দ্রুত তীব্র সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও Staphylococcus, Streptococcus এর মতো ব্যাকটেরিয়াও থাকতে পারে।
সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি: গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়ালের কামড়ে সংক্রমণের হার প্রায় ৩০-৫০%।
রেবিজ (জলাতঙ্ক) ভাইরাস: যদি বিড়ালটি রেবিজ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে তার লালার মাধ্যমে এই মরণঘাতী রোগটি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
জরুরি অবস্থায় প্রথম aid কি?
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় তা জানার পাশাপাশি প্রথম aid-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষতস্থান ধোয়া: প্রবহমান পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি ও সাবান দিয়ে কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট ধরে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সাবান যতটা সম্ভব হালকা হওয়া উচিত। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।
রক্তপাত বন্ধ করা: একটি পরিষ্কার গজ বা কাপড় দিয়ে হালকা চাপ প্রয়োগ করে রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
অ্যান্টিসেপটিক প্রয়োগ: ক্ষতস্থান ধোয়ার পর পভিসলন বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতো অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
স্টেরাইল ড্রেসিং: ক্ষতটি একটি পরিষ্কার, শুষ্ক ও স্টেরাইল ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন।
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন: উপরের পদক্ষেপগুলো নেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এড়িয়ে যাবেন না:
ক্ষতটি মুখে দিয়ে চুষবেন না।
ক্ষতের উপর কোনও মলম বা ঘরোয়া উপাদান ঘষবেন না।
ক্ষতটি অতিরিক্ত ঢেকে রাখবেন না, বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
টিকার প্রকারভেদ
এখন আসুন মূল বিষয়ে। বিড়ালের কামড়ে প্রধানত দুই ধরনের টিকা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
১. রেবিজ বা জলাতঙ্ক টিকা (Rabies Vaccine)
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিকা। বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই প্রশ্নের মূল উত্তরই জড়িত এই টিকার সাথে।
সুবর্ণ সময়: ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে। প্রথম ডোজ যত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায় তত ভালো।
কেন দ্রুত নেবেন: রেবিজ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে সময় নেয়। এক্সপোজার পর পোস্ট-এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস (PEP) হিসাবে এই টিকা দেওয়া হয়। টিকা দেহের immune system-কে ভাইরাসটিকে অ্যান্টিবডি তৈরি করে ধ্বংস করতে সাহায্য করে, মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আগেই।
সম্পূর্ণ কোর্স: রেবিজ টিকা একটি কোর্স আকারে দেওয়া হয়। WHO-এর বর্তমান গাইডলাইন অনুযায়ী, এক্সপোজারের পর ০ (শূন্য), ৩, ৭, ১৪ এবং ২৮তম দিনে মোট ৫টি ডোজ দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় নিয়মের উপর ভিত্তি করে এটি ভিন্ন হতে পারে।
কার ক্ষেত্রে রেবিজ টিকা অপরিহার্য:
বিড়ালটি যদি পাগলের মতো আচরণ করে (আলো-ছায়া দেখে ভয় পাওয়া, অকারণে আক্রমণ করা ইত্যাদি)।
- বিড়ালটি যদি বন্য বা অস্বাস্থ্যকর দেখায়।
- বিড়ালটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব না হলে বা ১০ দিনের মধ্যে মারা গেলে।
- কামড়টি যদি মুখ, গলা, মাথা বা হাতের আঙুলের মতো স্নায়ুকেন্দ্রিক হয়।
- আপনার যদি আগে কখনও রেবিজের সম্পূর্ণ টিকা না নেওয়া থাকে।
২. টিটেনাস টিকা (Tetanus Toxoid)
বিড়ালের কামড়ে টিটেনাসের ঝুঁকি কম হলেও এটি একেবারেই শূন্য নয়। টিটেনাস ব্যাকটেরিয়া মাটি ও ধুলোবালিতে থাকে, যা কামড়ের ক্ষতের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে।
সুবর্ণ সময়: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে। বিশেষ করে যদি ক্ষতটি গভীর হয় বা ময়লাযুক্ত হয়।
কখন নেবেন:
- যদি আপনার শেষ টিটেনাসের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ৫ বছরের বেশি হয়ে যায়।
- আপনার যদি টিটেনাস টিকা নেওয়ার ইতিহাস না থাকে বা শেষ হয়।
- ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে তিনি টিটেনাস ইমিউনোগ্লোবুলিনও দিতে পারেন।
টিকা এবং চিকিৎসার সময়সূচী
এখানে মূলত দুটি টিকার প্রয়োজন হতে পারে। জলাতঙ্ক (Rabies) এবং ধনুষ্টংকার (Tetanus)।
১. জলাতঙ্ক (Rabies) টিকার সময়সূচী
জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর রোগ, যার একবার লক্ষণ দেখা দিলে কোনো চিকিৎসা নেই। তাই বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় তার উত্তর জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
প্রথম ডোজ: কামড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব, আদর্শভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রথম ডোজ নিতে হবে। এটিকে 'ডে জিরো' বা শূন্য দিন ধরা হয়।
- দ্বিতীয় ডোজ: প্রথম ডোজের ৩ দিন পর।
- তৃতীয় ডোজ: প্রথম ডোজের ৭ দিন পর।
- চতুর্থ ডোজ: প্রথম ডোজের ১৪ দিন পর।
- পঞ্চম ডোজ (প্রয়োজনে): প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর।
মোট কথা, জলাতঙ্কের টিকা একটি সম্পূর্ণ কোর্স হিসেবে নিতে হয়, যা সাধারণত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে। প্রথম ডোজটি যত তাড়াতাড়ি নেওয়া যায়, সুরক্ষা তত বেশি কার্যকর হয়।
২. ধনুষ্টংকার (Tetanus) টিকার সময়সূচী
আপনি যদি গত ৫ বছরের মধ্যে ধনুষ্টংকারের বুস্টার ডোজ না নিয়ে থাকেন, অথবা আপনার টিকা এর ইতিহাস的不明確 হয়, তাহলে কামড়ানোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশেষ করে যদি ক্ষতটি গভীর হয় বা ময়লাযুক্ত কোনো স্থানে হয়, তবে টিটেনাস টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতি ও টিকা এবং চিকিৎসার সময়সূচী নিম্নরূপ।
কামড়ের দিন (ডে জিরো):
- জরুরি প্রথম aid প্রয়োগ করুন।
- অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- জলাতঙ্ক টিকার প্রথম ডোজ নিন।
- প্রয়োজন হলে, ধনুষ্টংকারের বুস্টার ডোজ নিন।
ডাক্তার সাধারণত সংক্রমণ রোধ করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন: অ্যামক্সিসিলিন-ক্ল্যাভুলানেট) শুরু করবেন, যা ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।
অত্যন্ত উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে (যেমন: মাথায় কামড়, রেবিজ আক্রান্ত বিড়ালের কামড়), ডাক্তার রেবিজ ইমিউনোগ্লোবুলিন (RIG) প্রয়োগ করতে পারেন, যা ক্ষতস্থানের চারপাশে ইনজেকশন আকারে দেওয়া হয়। এটি প্রথম দিনেই দেওয়া উচিত।
তৃতীয় দিন:
- জলাতঙ্ক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিন।
- ডাক্তারের নির্দেশিত অ্যান্টিবায়োটিক চালিয়ে যান।
- ক্ষতস্থানটি পরীক্ষা করুন; লালভাব, ফোলা, ব্যথা বা পুঁজ হলে দ্রুত ডাক্তারকে জানান।
সপ্তম দিন:
- জলাতঙ্ক টিকার তৃতীয় ডোজ নিন।
- ক্ষতটি ঠিকভাবে শুকোচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
চতুর্দশ দিন:
- জলাতঙ্ক টিকার চতুর্থ ডোজ নিন।
- আটাশতম দিন (প্রয়োজনে):
- জলাতঙ্ক টিকার পঞ্চম ও শেষ ডোজ নিন। এটি সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করে।
এই পুরো টিকা এবং চিকিৎসার সময়সূচী যথাযথভাবে মেনে চললে জলাতঙ্ক ও অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
কখন টিকা নেওয়া জরুরি?
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দেরি না করে অবশ্যই টিকা নেওয়া উচিত।
- বিড়ালটি বন্য বা অসুস্থ দেখালে।
- বিড়ালটির আচরণ অস্বাভাবিক (আক্ৰমণাত্মক, পানি দেখে ভয় পাওয়া) মনে হলে।
- বিড়ালটিকে Observation-এ রাখা সম্ভব না হলে।
- কামড়টি মুখ, গলা, মাথা বা হাত-পায়ের আঙুলে হলে।
- ক্ষতটি খুব গভীর হলে।
অতিরিক্ত চিকিৎসা:
অ্যান্টিবায়োটিক: সংক্রমণ রোধ করার জন্য ডাক্তার মুখে খাওয়ার জন্য (যেমন: অ্যামক্সিসিলিন-ক্ল্যাভুলানেট) অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে পারেন, যা সাধারণত ৫-৭ দিন পর্যন্ত খেতে হয়।
রেবিজ ইমিউনোগ্লোবুলিন (RIG): খুবই উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে (যেমন: মাথায় কামড়, রেবিজ আক্রান্ত বিড়ালের কামড়), শুধু টিকা নয়, রেবিজ ইমিউনোগ্লোবুলিনও দেওয়া হয়। এটি একটি readymade অ্যান্টিবডি যা টিকা কাজ করা শুরু করার আগেই শরীরকে তাৎক্ষণিক সুরক্ষা দেয়। এটি সাধারণত ক্ষতস্থানের চারপাশে ইনজেকশন আকারে দেওয়া হয় এবং প্রথম দিনেই দেওয়া উচিত।
বিড়ালটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ
যদি কামড় দেওয়া বিড়ালটি আপনার নিজের পোষ্য হয় এবং তার রেবিজের টিকা আপ-টু-ডেট থাকে, তাহলে একটি বিকল্প পদ্ধতি follow করা যায়। ডাক্তার বিড়ালটিকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিতে পারেন।
রেবিজে আক্রান্ত কোনো প্রাণী তার লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে মারা যায়। তাই, যদি বিড়ালটি ১০ দিন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় তার লালায় সেই সময় রেবিজ ভাইরাস ছিল না এবং আপনার রেবিজ টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এই সিদ্ধান্ত একমাত্র একজন চিকিৎসকই নিতে পারবেন।
সংক্রমণের লক্ষণ গুলো চিনে নিন
টিকা নেওয়ার পরও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- ক্ষতস্থান লাল হয়ে যাওয়া ও ফুলে যাওয়া।
- ক্ষত থেকে পুঁজ বা সাদা/হলুদ তরল বের হওয়া।
- ব্যথা অসহনীয়ভাবে বেড়ে যাওয়া।
- জ্বর আসা।
- ক্ষতের চারপাশ গরম হয়ে যাওয়া।
- শরীর ম্যাজম্যাজ করা ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
- প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
- অপরিচিত বা বন্য বিড়ালের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
- আপনার পোষ্য বিড়ালটিকে নিয়মিত রেবিজ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় টিকা দিন।
- বিড়ালকে উত্তেজিত বা ভয় পাইয়ে দেবেন না।
- বিড়ালের সাথে খেলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- শিশুদের বিড়ালের সাথে খেলার সময় নজর রাখুন, তারা অনেক সময় বিড়ালকে কষ্ট দিতে পারে।
শেষ কথা:
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই প্রশ্নের উত্তর জানা আপনার এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখবেন, ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রেবিজ টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া জীবন বাঁচাতে পারে।
কোনোভাবেই বিড়ালের কামড় বা আচড়কে হালকাভাবে নেবেন না। প্রথম aid-এর পর দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ টিকা এবং চিকিৎসার সময়সূচী ফলো করুন। সচেতনতাই পারে এই ধরনের দুর্ঘটনা মারাত্মক পরিণতি থেকে আপনাকে রক্ষা করতে। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

