যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় MCQ ১০০টি প্রশ্ন উত্তর! (২০২৫)
hsc পরীক্ষার্থীদের জন্য যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় ‘যুক্তির উপাদান’ এর উপর একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা। এই আর্টিকেলে অধ্যায়টির সহজ ব্যাখ্যা, ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ MCQ ও উত্তরসহ একটি বিস্তারিত গাইডলাইন প্রদান করা হয়েছে যা আপনাকে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সাহায্য করবে।
যুক্তিবিদ্যার জগতে প্রবেশ করতে হলে এর foundational বা মৌলিক উপাদান গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অপরিহার্য।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৩য় অধ্যায়, যা 'যুক্তির উপাদান' হিসেবে পরিচিত, ঠিক সেই কাজটিই করে।
এই অধ্যায়টি মূলত যুক্তিবিদ্যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে, যা পরবর্তী অধ্যায় গুলো বোঝা এবং প্রয়োগ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল আলোচনায় আমরা এই অধ্যায়ের প্রতিটি অংশকে সহজ ভাষায় তুলে ধরব, যাতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ সহকারে পড়তে পারে।
আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীদের কাছে এই অধ্যায়ের জটিল বিষয় গুলোকে সহজবোধ্য করে তোলা এবং পরীক্ষার জন্য তাদের পুরোপুরি প্রস্তুত করা।
যুক্তির উপাদান:
যুক্তিবিদ্যা মূলত অনুমান বা যুক্তি নিয়ে আলোচনা করে। আর এই যুক্তি গঠিত হয় একাধিক যুক্তিবাক্যের সমন্বয়ে। আবার, যুক্তিবাক্য গঠিত হয় পদের মাধ্যমে।
তাই, 'যুক্তির উপাদান' অধ্যায়ে আমরা পদ, শব্দ, বাক্য, এবং যুক্তিবাক্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে পাই।
পদ (Term) কী?
সহজ ভাষায়, একটি যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এমন শব্দ বা শব্দসমষ্টিকে পদ বলে।
যেমন, "সকল মানুষ হয় মরণশীল" - এই যুক্তিবাক্যে 'মানুষ' এবং 'মরণশীল' হলো দুটি পদ।
এখানে 'মানুষ' হলো উদ্দেশ্য পদ এবং 'মরণশীল' হলো বিধেয় পদ। পদের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো 'Term', যা ল্যাটিন শব্দ 'Terminus' থেকে এসেছে, যার অর্থ প্রান্ত বা সীমা।
মনে রাখতে হবে, সব শব্দই পদ নয়, কিন্তু সব পদই এক বা একাধিক শব্দ দ্বারা গঠিত। যে শব্দ গুলো কোনো যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্যতা রাখে, কেবল তারাই পদ হিসেবে গণ্য হয়।
শব্দ ও পদের মধ্যে সম্পর্ক
শব্দ হলো অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি। অন্যদিকে, পদ হলো সেই সব শব্দ বা শব্দসমষ্টি যা যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হয়। এদের সম্পর্ক বেশ নিবিড়।
শব্দ হলো পদের গাঠনিক উপাদান: পদ শব্দ দ্বারা তৈরি হয়।
পদের অর্থ নির্দিষ্ট: যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত হওয়ায় পদের অর্থ সুনির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু শব্দের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন হতে পারে।
সব শব্দ পদ নয়: যেমন- এবং, ও, হায়, ইত্যাদি শব্দ নিজেরা কোনো যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয় হতে পারে না। তাই এগুলো পদ নয়, বরং সহ-পদযোগ্য শব্দ।
পদের প্রকারভেদ
'যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৩য় অধ্যায়'-এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পদের প্রকারভেদ। পদকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। যেমন:
গঠন অনুসারে:
সরল পদ: একটি মাত্র শব্দ দ্বারা গঠিত পদকে সরল পদ বলে। যেমন: 'ফুল', 'বই', 'সৎ' ইত্যাদি।
যৌগিক পদ: একাধিক শব্দ দ্বারা গঠিত পদকে যৌগিক পদ বলে। যেমন: 'সৎ ছেলে', 'লাল গোলাপ', 'বাংলাদেশের রাজধানী' ইত্যাদি।
অর্থ অনুসারে:
বিশিষ্ট পদ: যে পদ কেবল একটি মাত্র ব্যক্তি, বস্তু বা গুণকে বোঝায়। যেমন: 'ঢাকা', 'শেক্সপিয়ার', 'हिमालय' ইত্যাদি।
সাধারণ পদ: যে পদ এক জাতীয় একাধিক ব্যক্তি বা বস্তুকে তাদের সাধারণ গুণের ভিত্তিতে বোঝায়। যেমন: 'মানুষ', 'নদী', 'শহর' ইত্যাদি।
বস্তুবাচক ও গুণবাচক:
বস্তুবাচক পদ: যে পদ কোনো বস্তুর নাম বোঝায়। যেমন: 'চেয়ার', 'টেবিল', 'পানি'।
গুণবাচক পদ: যে পদ কোনো গুণের নাম বোঝায়। যেমন: 'সততা', 'জ্ঞান', 'সৌন্দর্য'।
সম্বন্ধ অনুসারে:
নিরপেক্ষ পদ: যে পদের অর্থ প্রকাশের জন্য অন্য কোনো পদের উপর নির্ভর করতে হয় না। যেমন: 'মানুষ', 'বই', 'ঘর'।
সাপেক্ষ পদ: যে পদের অর্থ অন্য একটি পদের উপর নির্ভরশীল। যেমন: 'পিতা' (পুত্রের সাপেক্ষ), 'স্বামী' (স্ত্রীর সাপেক্ষ)।
বিপরীত পদ: দুটি পদের মধ্যে যদি এমন বিরোধ থাকে যে তারা একটি বৃহৎ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়েও একে অপরের থেকে ভিন্ন, তবে তাদের বিপরীত পদ বলে।
যেমন: 'সাদা' ও 'কালো'। এরা উভয়েই 'রং' শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু একটির উপস্থিতি অন্যটির অনুপস্থিতি বোঝায় না।
বিরুদ্ধ পদ: দুটি পদ যখন পরস্পর বিরোধী হয় এবং তাদের সম্মিলিত ব্যক্ত্যর্থ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে, তখন তাদের বিরুদ্ধ পদ বলে। যেমন: 'সাদা' ও 'অ-সাদা'। জগতের সবকিছু হয় সাদা না হয় অ-সাদা হবেই।
পদের ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থ
এটি এই অধ্যায়ের আরেকটি ধারণা।
ব্যক্ত্যর্থ (Denotation): একটি পদ একই অর্থে যে বস্তু বা বস্তুসমূহের উপর আরোপ করা যায়, সেই বস্তু বা বস্তুসমূহকে ঐ পদের ব্যক্ত্যর্থ বলে।
সহজ কথায়, ব্যক্ত্যর্থ হলো পদের সংখ্যার বা পরিমাণের দিক। যেমন: 'মানুষ' পদের ব্যক্ত্যর্থ হলো অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল মানুষ।
জাত্যর্থ (Connotation): একটি পদ যে সাধারণ ও আবশ্যিক গুণ বা গুণাবলিকে নির্দেশ করে, সেই গুণ বা গুণাবলিকে ঐ পদের জাত্যর্থ বলে। অর্থাৎ, জাত্যর্থ হলো পদের গুণের দিক।
যেমন: 'মানুষ' পদের জাত্যর্থ হলো 'জীববৃত্তি' এবং 'বুদ্ধিবৃত্তি'। এই দুটি গুণ সকল মানুষের মধ্যে বিদ্যমান।
ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থের মধ্যে সম্পর্ক: এদের মধ্যে বিপরীতমুখী হ্রাস-বৃদ্ধির সম্পর্ক বিদ্যমান। অর্থাৎ,
1. যদি ব্যক্ত্যর্থ বাড়ে, তবে জাত্যর্থ কমে।
2. যদি ব্যক্ত্যর্থ কমে, তবে জাত্যর্থ বাড়ে।
3. যদি জাত্যর্থ বাড়ে, তবে ব্যক্ত্যর্থ কমে।
4. যদি জাত্যর্থ কমে, তবে ব্যক্ত্যর্থ বাড়ে।
উদাহরণস্বরূপ, 'মানুষ' পদের ব্যক্ত্যর্থ 'সভ্য মানুষ' পদের চেয়ে বেশি। কিন্তু 'মানুষ' পদের জাত্যর্থ ('জীববৃত্তি' + 'বুদ্ধিবৃত্তি') 'সভ্য মানুষ' পদের জাত্যর্থের ('জীববৃত্তি' + 'বুদ্ধিবৃত্তি' + 'সভ্যতা') চেয়ে কম।
যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় MCQ
এখন আমরা এই অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে ১০০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) ও তার উত্তর দেখব যা আপনার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
১. কোনো যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয়রূপে ব্যবহৃত শব্দ বা শব্দসমষ্টিকে কী বলে?
উত্তর: পদ
২. পদের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Term’ কোন শব্দ থেকে উদ্ভূত?
উত্তর: Terminus
৩. ‘Terminus’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: প্রান্ত বা সীমা
৪. ভাষায় প্রকাশিত অনুমানকে কী বলা হয়?
উত্তর: যুক্তি
৫. যুক্তির উপাদান কী?
উত্তর: পদ
৬. সকল শব্দই কি পদ?
উত্তর: না
৭. পদের কয়টি দিক থাকে?
উত্তর: ২টি (ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থ)
৮. পদের সংখ্যার দিককে কী বলে?
উত্তর: ব্যক্ত্যর্থ
৯. পদের গুণের দিককে কী বলে?
উত্তর: জাত্যর্থ
১০. গঠন অনুসারে পদ কত প্রকার?
উত্তর: ২ প্রকার (সরল ও যৌগিক)
১১. একটি মাত্র শব্দ দ্বারা গঠিত পদকে কী বলে?
উত্তর: সরল পদ
১২. নিচের কোনটি সরল পদের উদাহরণ?
উত্তর: সততা
১৩. একাধিক শব্দ দ্বারা গঠিত পদকে কী বলে?
উত্তর: যৌগিক পদ
১৪. 'বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি' - এটি কোন ধরনের পদ?
উত্তর: যৌগিক পদ
১৫. অর্থ অনুসারে পদ কত প্রকার?
উত্তর: ২ প্রকার (বিশিষ্ট ও সাধারণ)
১৬. যে পদ কেবল একটি মাত্র ব্যক্তি, বস্তু বা স্থানকে বোঝায় তাকে কী বলে?
উত্তর: বিশিষ্ট পদ
১৭. 'हिमालय' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বিশিষ্ট পদ
১৮. যে পদ এক জাতীয় সকল বস্তুকে সাধারণ নামে বোঝায় তাকে কী বলে?
উত্তর: সাধারণ পদ
১৯. 'নদী' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: সাধারণ পদ
২০. যে পদ কোনো গুণের নাম বোঝায় তাকে কী বলে?
উত্তর: গুণবাচক পদ
২১. 'মধুরতা' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: গুণবাচক পদ
২২. যে পদ কোনো বস্তুর নাম বোঝায় তাকে কী বলে?
উত্তর: বস্তুবাচক পদ
২৩. 'চেয়ার' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বস্তুবাচক পদ
২৪. যে পদের অর্থ অন্য পদের উপর নির্ভরশীল নয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: নিরপেক্ষ পদ
২৫. 'মানুষ' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: নিরপেক্ষ পদ
২৬. যে পদের অর্থ বুঝতে অন্য পদের সাহায্য লাগে, তাকে কী বলে?
উত্তর: সাপেক্ষ পদ
২৭. 'শিক্ষক' পদটির সাপেক্ষ পদ কোনটি?
উত্তর: ছাত্র
২৮. যে দুটি পদের একটিকে স্বীকার করলে অন্যটিকে অস্বীকার করতে হয় না, কিন্তু একটিকে অস্বীকার করলে অন্যটিকে স্বীকার করতে হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: বিপরীত পদ
২৯. 'সাদা' ও 'কালো' পরস্পর কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বিপরীত পদ
৩০. যে দুটি পদ পরস্পর বিরোধী এবং যাদের সম্মিলিত ব্যক্ত্যর্থ সমগ্র জগৎকে বোঝায়, তাদের কী বলে?
উত্তর: বিরুদ্ধ পদ
৩১. 'মানুষ' ও 'অ-মানুষ' পরস্পর কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বিরুদ্ধ পদ
৩২. পদের ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থের সম্পর্ক কেমন?
উত্তর: বিপরীতমুখী
৩৩. যদি পদের ব্যক্ত্যর্থ বাড়ে, জাত্যর্থের কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর: কমে
৩৪. যদি পদের জাত্যর্থ কমে, ব্যক্ত্যর্থের কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর: বাড়ে
৩৫. 'মানুষ' ও 'সভ্য মানুষ' - এ দুটি পদের মধ্যে কোনটির ব্যক্ত্যর্থ বেশি?
উত্তর: মানুষ
৩৬. 'প্রাণী' ও 'মানুষ' - এ দুটি পদের মধ্যে কোনটির জাত্যর্থ বেশি?
উত্তর: মানুষ
৩৭. যে শব্দেরা নিজেরা পদ হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দকে পদে পরিণত হতে সাহায্য করে, তাদের কী বলে?
উত্তর: সহ-পদযোগ্য শব্দ
৩৮. 'এবং', 'টি', 'টা' - এগুলো কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: সহ-পদযোগ্য শব্দ
৩৯. যে শব্দগুলো কোনো অবস্থাতেই পদ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না, তাদের কী বলে?
উত্তর: পদ-নিরপেক্ষ শব্দ
৪০. 'হায়!', 'আহা!' - এগুলো কোন ধরনের শব্দ?
উত্তর: পদ-নিরপেক্ষ শব্দ
৪১. 'Denotation' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: ব্যক্ত্যর্থ
৪২. 'Connotation' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: জাত্যর্থ
৪৩. 'সকল দার্শনিক হন জ্ঞানী' - এখানে উদ্দেশ্য পদ কোনটি?
উত্তর: সকল দার্শনিক
৪৪. 'কোনো কোনো ফুল নয় সুন্দর' - এখানে বিধেয় পদ কোনটি?
উত্তর: সুন্দর
৪৫. সমষ্টিবাচক পদ কোনটি?
উত্তর: সেনাবাহিনী
৪৬. যে পদের ব্যক্ত্যর্থ আছে কিন্তু জাত্যর্থ নেই, তাকে কী বলে?
উত্তর: অজাত্যর্থক পদ
৪৭. বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম কোন ধরনের পদ?
উত্তর: অজাত্যর্থক পদ
৪৮. 'সৃষ্টিকর্তা' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: অজাত্যর্থক পদ
৪৯. 'যদু' একটি নাম, এটি কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বিশিষ্ট পদ
৫০. 'যুক্তিবিদ্যা' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: গুণবাচক পদ
৫১. পদের ব্যাপ্যতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পদের সমগ্র ব্যক্ত্যর্থকে গ্রহণ করা
৫২. কোন যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য হয়?
উত্তর: সার্বিক যুক্তিবাক্যে (A, E)
৫৩. কোন যুক্তিবাক্যে বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়?
উত্তর: নঞর্থক যুক্তিবাক্যে (E, O)
৫৪. 'A' যুক্তিবাক্যে কোন পদ ব্যাপ্য?
উত্তর: উদ্দেশ্য পদ
৫৫. 'E' যুক্তিবাক্যে কোন পদ ব্যাপ্য?
উত্তর: উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয়ই
৫৬. 'I' যুক্তিবাক্যে কোন পদ ব্যাপ্য?
উত্তর: কোনোটিই নয়
৫৭. 'O' যুক্তিবাক্যে কোন পদ ব্যাপ্য?
উত্তর: বিধেয় পদ
৫৮. 'সততা' কোন প্রকারের পদ?
উত্তর: গুণবাচক/বিমূর্ত পদ
৫৯. 'লাইব্রেরি' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: সমষ্টিবাচক পদ
৬০. 'পিতা' ও 'পুত্র' পদ দুটি কী ধরনের?
উত্তর: সাপেক্ষ পদ
৬১. 'Term' শব্দটি কোন ভাষার শব্দ?
উত্তর: ল্যাটিন
৬২. যুক্তিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর: অনুমান
৬৩. একটি যুক্তিবাক্যের কয়টি অংশ থাকে?
উত্তর: ৩টি (উদ্দেশ্য, বিধেয় ও সংযোজক)
৬৪. সংযোজক সবসময় কোন কালের হয়?
উত্তর: বর্তমান কাল
৬৫. 'হয়' বা 'নয়' কে কী বলা হয়?
উত্তর: সংযোজক
৬৬. 'মানুষ হয় বুদ্ধিমান' - এখানে সংযোজক কোনটি?
উত্তর: হয়
৬৭. সরলতা, উদারতা, মানবতা - এগুলো কোন ধরনের পদ?
উত্তর: গুণবাচক পদ
৬৮. 'স্কাউট দল' শব্দটি কোন ধরনের পদ?
উত্তর: সমষ্টিবাচক পদ
৬৯. জাত্যর্থ হলো পদের -
উত্তর: আবশ্যিক গুণ
৭০. কোন ধরনের যুক্তিবাক্যে নতুন তথ্য বা অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়?
উত্তর: সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য
৭১. যে পদের ব্যক্ত্যর্থ এবং জাত্যর্থ উভয়ই আছে, তাকে কী বলে?
উত্তর: জাত্যর্থক পদ
৭২. 'টেবিল' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বস্তুবাচক পদ
৭৩. 'সাদা ও অসাদা' কী ধরনের পদ?
উত্তর: বিরুদ্ধ পদ
৭৪. 'যুক্তিবিদ্যায়' ব্যবহৃত পদের দিক কয়টি?
উত্তর: দুইটি
৭৫. কোন পদের জাত্যর্থ নেই?
উত্তর: বিশিষ্ট পদের
৭৬. 'জীব' -> 'মানুষ' -> 'সৎ মানুষ' - এই ধারায় পদের জাত্যর্থ क्रमशः -
উত্তর: বৃদ্ধি পেয়েছে
৭৭. 'সৎ মানুষ' -> 'মানুষ' -> 'জীব' - এই ধারায় পদের ব্যক্ত্যর্থ क्रमशः -
উত্তর: বৃদ্ধি পেয়েছে
৭৮. জাতিবাচক বিশেষ্য কোন ধরনের পদ?
উত্তর: সাধারণ পদ
৭৯. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বিশিষ্ট পদ
৮০. 'জাতিসংঘ' কী ধরনের পদ?
উত্তর: সমষ্টিবাচক ও যৌগিক পদ
৮১. যে পদ কোনো কিছুর সংখ্যার ধারণা দেয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: ব্যক্ত্যর্থ
৮২. যৌক্তিক সংজ্ঞায় পদের কোন দিকটি আলোচিত হয়?
উত্তর: জাত্যর্থ
৮৩. যৌক্তিক বিভাগে পদের কোন দিকটি আলোচিত হয়?
উত্তর: ব্যক্ত্যর্থ
৮৪. 'Logic' শব্দটি কোন গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে?
উত্তর: Logike
৮৫. 'Logike' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চিন্তা বা ভাষা
৮৬. 'উদ্দেশ্য' সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: বিধেয়
৮৭. একটি যুক্তিতে প্রতিটি পদ সাধারণত কয়বার ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ২ বার
৮৮. 'দেশপ্রেম হয় মহৎ গুণ' - এখানে 'দেশপ্রেম' কোন পদ?
উত্তর: উদ্দেশ্য পদ
৮৯. 'মানুষ মরণশীল' - এটি একটি -
উত্তর: যুক্তিবাক্য
৯০. 'সুন্দর ফুল' - এটি কী?
উত্তর: একটি যৌগিক পদ
৯১. পদের হ্রাস-বৃদ্ধির নিয়মটি কোন ধরনের পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়?
উত্তর: বিশিষ্ট পদের
৯২. 'গুণবাচক পদ' কে কোন পদ বলা হয়?
উত্তর: বিমূর্ত পদ
৯৩. 'বস্তুবাচক পদ' কে কোন পদ বলা হয়?
উত্তর: মূর্ত পদ
৯৪. 'করিম হয় সৎ' - এখানে 'করিম' পদের কী নেই?
উত্তর: জাত্যর্থ নেই
৯৫. 'সবুজ' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: গুণবাচক পদ
৯৬. 'সুন্দর' ও 'কুৎসিত' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: বিপরীত পদ
৯৭. 'মানুষ' পদের জাত্যর্থ কী?
উত্তর: জীববৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি
৯৮. একটি পদের ব্যক্ত্যর্থ হতে পারে -
উত্তর: এক বা একাধিক
৯৯. 'ঢাকাবাসী' কোন ধরনের পদ?
উত্তর: সাধারণ পদ
১০০. যে কোনো যুক্তিবাক্যের অপরিহার্য অংশ কোনটি?
উত্তর: সংযোজক
শেষ কথা:
'যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ৩য় অধ্যায়: যুক্তির উপাদান' অধ্যায়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক। এটি কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যই নয়, বরং যৌক্তিক চিন্তা ও বিশ্লেষণের দক্ষতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
এই অধ্যায়ে পদ, শব্দ, ব্যক্ত্যর্থ ও জাত্যর্থের মতো মৌলিক ধারণাগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান লাভ করলে যুক্তিবিদ্যার পরবর্তী জটিল বিষয়গুলো বোঝা অনেক সহজ হয়ে যায়।